দেশপ্রাণ ব্লকের পেটুয়াঘাট মৎস্যবন্দরে শেখ মনসুর (৪৫) নিখোঁজ হয়েছেন। এই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট জুনপুট কোস্টাল থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছে। পুলিশ ওই মৎস্যজীবীর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে এক মৎস্যজীবীর সঙ্গে পেটুয়াঘাটে যান মনসুর সাহেব। তিনি দেশপ্রাণের পশ্চিম বামুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা এক বর্ধিষ্ণু ট্রলার মালিকের অধীনে কাজ করতেন। পেটুয়াঘাটে পৌঁছনোর পর ওই ট্রলারে যান মনসুর। কিন্তু দুপুরের পর থেকে তাঁকে আর কেউ দেখতে পায়নি। পরিবারের লোকজন মোবাইলে ফোন করেও যোগাযোগ করতে পারেনি। এরপর মনসুরের ছেলে সহ পরিবারের লোকজন পেটুয়াঘাটে যান। কিন্তু মনসুরের কানও’ হদিশ পাননি তাঁরা। সংশ্লিষ্ট ট্রলারের মালিক সহ অন্যান্য মৎস্যজীবীদের জানতে চাইলে তাঁদের কোনও তথ্য জানাতে পারেননি। এরপর থানার দ্বারস্থ হন পরিবারের লোকেরা।
পেটুয়া বন্দরে ট্রলার থেকে পড়ে নিখোঁজ মৎস্যজীবী, ২৪ ঘণ্টা পরও মেলেনি সন্ধান।মনসুরের স্ত্রী সাবেতুন বিবি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পুলিশের অনুমান, ট্রলারে কাজ করার সময় কোনওভাবে পা পিছলে সমুদ্রের জলে পড়ে যান ওই ব্যক্তি। জুনপুট কোস্টাল থানার ওসি কামার হাসিদ বলেন, | নিখোঁজ মৎস্যজীবীর সন্ধানে সংশ্লিষ্ট সব জায়গায় তল্লাশি চলছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মাস দুয়েক আগে এই পেটুয়া বন্দর থেকেই ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা এক মৎস্যজীবি সমুদ্রের জলে পড়ে নিখোঁজ হয়ে ছিলেন। পরে জানা যায়, তার সহকর্মীরাই ‘তাকে ট্রলার থেকে সমুদ্রের মোহনার জলে ঠেলে ফেলে। দিয়ে ছিলেন। ওই ঘটনায় পুলিশ কয়েকজনকে খুনের দায়ে গ্রেপ্তারও করে। ফলত এবারের এই ঘটনায়ও পরিবারের লোকেদের সন্দেহ মনসুরকে খুন করার উদ্দেশ্যে ট্রলার থেকে জলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। পেটুয়া মৎস্যবন্দরে একের পর এক এমন ঘটনায় অন্যান্য মৎসজীবি পরিবারের লোকেরাও রীতিমত আশঙ্কিত। ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে এলাকায়।
