কার্তিকী অমাবস্যায় শ্যামা মায়ের আরাধনা হয়ে আসছে বহু প্রাচীন কাল থেকেই। সঙ্গে দীপাবলি। শ্যামা মানে কালো ,ঘণ অন্ধকার। সৃষ্টির আদি ছিল অন্ধকার। সেই অন্ধকার থেকে মহামায়া তথা কালীর সৃষ্টি, যা আলোর উৎস্যমুখ। তাই আদি অন্ধকারের দেবী কালীর পূজার চল। এই কালী বা শ্যামা বহু আকারে ও নিয়মে পূজিতা হন। তিনি সভ্য অসভ্য সকলেরই মা।
অন্যদিকে কার্তিকী অমাবস্যা রাতে মৃত আত্মারা পৃথিবীতে আসেন। তাদের আসার পথ আলোকিত করতেই দীপ জ্বালানো হয়।
ক্রমশ এই উৎসব আড়ম্বর আকার নিয়েছে। দীপের বদলে এসেছে বৈদ্যুতিন আলো। সঙ্গে আতসবাজী। বাজী শুধু পরিবেশ দূষণ করে না। সঙ্গে মানবদেহের ক্ষতি করে। বাজি তৈরি ব্যাবসা। বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনা কম নয়। শব্দ বাজি নিষিদ্ধ হলেও রাজনৈতিক আশ্রয়ে শব্দবাজি ও ডি জে দৌরাত্ম্য সমানে চলছে।
তবে পঃ বঙ্গের মত রাজ্যে এই উৎসব ঘিরে সরকারী মদ বিক্রি রেকর্ড গড়ে। অনেকে মনে করেন মদ বিক্রি বাড়াতে উৎসব সংগঠিত হয় রাজনৈতিক মদতে। মদ থেকে আয় যাচ্ছে খয়রাত বিলিতে। মানুষ সংকটে থাকলেও প্রলেপ দিচ্ছে ভাতা খয়রাত। আর সমাজটা চলে যাচ্ছে সমাজবিরোধী শ্রেণীর দখলে। মা কালি দাও বলি। সমাজকে শুদ্ধ করো মা।
